আপনারাই ইমারজেন্সির লোক: খালেদাকে সুরঞ্জিত

আপনারাই ইমারজেন্সির লোক: খালেদাকে সুরঞ্জিত

বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ‘ইমারজেন্সির লোক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া নাকি আশঙ্কা করছেন, আমরা ইমারজেন্সি দিয়ে দিতে পারি। তাকে আমি বলতে চাই, আপনারা ইমারজেন্সির লোক। আপনারাই ইমারজেন্সি সম্পর্কে ভালো বোঝেন। সদ্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দীন আহম্মেদকে দিয়ে আপনারা ইমারজেন্সি জারি করেছিলেন। আমরা সংবিধানে ইমারজেন্সির প্রভিশন রাখিনি।’’

বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘কেন হরতালের নামে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে ‍যদি কথা বলতে হয় তাহলে আপনারা পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা করতে পারেন। আপনারা যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চান সেটা নিশ্চয়ই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন আর অন্য যে কোনো সরকারই বলেন কোনো সরকারই নির্বাচন করে না। নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন। এসব দাবির জন্য হরতাল ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড কেন?’’

জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে সরুঞ্জিত বলেন, ‘‘জামায়াত চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হোক। এবারের সংবিধানে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটি অবাধ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে সেটা করা হয়নি। তার অর্থ যদি ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড হয়, তাহলে এ বিষয়ে নতুন করে আমাদের আবার ভাবতে হবে।’’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তান এবং সৌদি আরব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে।
জাগ্রত বাংলা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই। ৭১-এ সপ্তম নৌবহর এনেও বাংলার স্বাধীনতা ব্যাহত করতে পারেনি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও ব্যাহত করতে পারবে না। এটি সরকারের নির্বাচনী ম্যান্ডেট।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের পদত্যাগ নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা’ বলেও মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত।

বিশ্বজিৎ হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেও এ বিষয়ে তাড়ানায় দগ্ধ হচ্ছি। সাংবাদিক, পুলিশ, জনগণ সবাই এ বিষয়টি লাইফ শো’র মতো দেখলেন, কিন্তু কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না। এই হত্যাকাণ্ডের আসামিদের ধরতে কোনো তদন্তের প্রয়োজন পড়ে না।  খুনিরা বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ না সক্রিয় ছাত্রলীগ সেটা প্রশ্ন নয়। তারা অপরাধী।’’

বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা জজ লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়নু কবির মিজি প্রমুখ।

অন্যান্য বাংলাদেশ শীর্ষ খবর