আরও ৬৩ বিদেশী বন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে শনিবার

আরও ৬৩ বিদেশী বন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে শনিবার

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সরকার ৪র্থ বারের মতো বিদেশী বন্ধুদের মুক্তিয্দ্ধু সম্মাননা দিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের সম্মাননার তালিকায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মূর্খাজি ও কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নাম রয়েছে।

প্রণব মূর্খাজি এই পর্বে আসতে পারছেন না। আগামীতে তার সম্মাননা দেওয়ার জন্য সময় করে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আর ফিদেল ক্যাস্ট্রো আসতে পারবেন না। তবে তার আমন্ত্রণপত্র পৌছে দেওয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপটেন তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান।

এই পর্বে ৬৩ জন বিদেশী বন্ধু ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ ৩ পর্বে ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বন্ধু নাগরিকদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

৪র্থ পর্বের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যে সব বিদেশি বন্ধু বা তাঁদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন, তাঁরা হলেন- ভারতের জয়প্রকাশ নারায়ণ, হেমন্ত কুমার মুখোপাধ্যায়, নন্দিনী সংপতি, ইলামিত্র, রমেন মিত্র, প্রফেসর সত্যেন বোস, সলিল চৌধুরী, বৈদ্যনাথ মজুমদার, হাবুল বন্দোপাধ্যায়, মার্গারেট রোজ মার্লং, নেপাল নাগ রাষ্ট্রদূত জগদীশ সি শর্মা, মেজর জেনারেল জি সি নাগরা, হরিনারায়ণ চক্রবর্তী, প্রবোধ চন্দ্র, রিংকি রায় ভট্টাচার্য, আশরাফী বেগম, কল্যাণী সাহা, আনন্দজী সাহা, অজিত কুমার দাস, শহীদ সিপাহী অংশু প্রসাদ, খগেন দাস, নিবেদিতা নাগ, মনসুর হাবিবউল্লাহ, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রীতিশ নন্দী, বাসব সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথ, বরুণ সেনগুপ্ত, ঋত্বিক ঘটক, মান্না দে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ডা. সুজিত দে, তারা শংকর বন্দোপাধ্যায়, আবদুস সালাম, সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, নারগিস জাহঙ্গীর রেবাদ (মিজ শাম্মী), খসরু এফ রুস্তজী, নিরেন্দ্র চন্দ্র সেন গুপ্ত, এ কে গোলাপন, অধ্যাপক শান্তিময় রায়, নিখিল চক্রবর্তী, রেনু চক্রবর্তী, মকবুল ফিদা হোসেন, সুনীল দল, নারগিস দত্ত, অধ্যাপক ঝিষ্ণু দে, অধ্যাপক মিরা দে ও আবু বারকাত আতাউর গনি খান চৌধুরী এবং জি বি হাসপাতাল।

ভুটানের দাসো কর্ম দর্জি, নেপালের অর্জুন নরসিংহ কে সি, দামান নাথ ধুঙ্গানা ও চক্র প্রসাদ বাস্তলা, শ্রীলঙ্কার সেনারাত গুণাবর্ধন, যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন সি চেন, মারথা চেন, ড্যান কগিন, প্রফেসর স্টিফেন মার্গলিন ও টাউনসেন্ড সুয়াজি, যুক্তরাজ্যের ডেভিড স্টিল, সুইডেনের সৈয়দ আসিফ সরকার, রাশিয়ার প্রাভদা পত্রিকা, ফ্রান্সের ড. পৃথীনান্দ মুখোপাধ্যায় এবং  অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড।

এই সম্মাননার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ক্যাপ্টেন তাজুল ইসরাম আরও বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখার্জি এই সময় থাকছেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের আমন্ত্রণপত্র পৌছে দেওয়া হয়েছে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা গ্রহণ আসার জন্য সন্মতি জানিয়েছেন। তিনি সময় দিলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রণব মূখার্জি এখন পর্যন্ত অন্য কোনো দেশে যাননি। প্রথম বিদেশ সফরে তিনি বাংলাদেশে আসতে চেয়েছেন বলে ক্যাপটেন তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান।

ক্যাপটেন তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা ভালো একটা সময়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চাই। আগামী বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে হলে ভালো হয়। তবে তিনি কখন সময় পাবেন, তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।”

এছাড়া কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি আসতে পারবেন না। তবে আমরা সরাসরি ব্যক্তির মাধ্যমে তার আমন্ত্রণ পৌছে দেবো।

৪র্থ পর্বের সম্মাননা সম্পর্কে ক্যাপটেন তাজ আরও বলেন, “এই পর্বে ৬৩ জন বিশেষ ব্যক্তি ও দুটি সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগে যে ৩ বার সম্মাননা দিয়েছি, তার চেয়ে এবারের সময়টা খুবই ভালো। এবার বিজয়ের মাসে বিদেশী বন্ধুদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সম্মাননা নেওয়ার পর দিনই তারা বিজয় দিবসের বিজয় উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। বিজয় উৎসব করবেন।”

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ শীর্ষ খবর