বিচারপতির স্কাইপে সংলাপ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও প্রকাশক হাসমত আলীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৬ ও ৫৭ ধারায় ও দণ্ডবিধির ১২৪, ১২৪-এ, ৫০৫এ, ১২০বি ও ৫১১ ধারায় আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান এ মামলাটি দায়ের করেন।
পিটিশন মামলা নম্বর ৩৪/১২ (তেজগাঁও)।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আশিকুর রহমান মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাদী সাহিদুর রহমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই রেজিস্ট্রার ও আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সানজিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন।
মামলা দায়েরের পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৌখিক আদেশ ও রাত ৯ টার দিকে লিখিত আদেশ প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাতেই মামলার কপি তেজগাঁও থানার পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্কাইপের মাধ্যমে প্রবাসী এক আইন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি নিজামুল হকের কথিত কথোপকথনের ওপর সংবাদ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মুখে গত মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন বিচারপতি নিজামুল হক।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এতে ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজামুল হকের জায়গায় দায়িত্ব পান দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর।
এদিকে বৃহস্পতিবার উক্ত বিচারপতির স্কাইপে কথোপকথনের ভিত্তিতে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
স্কাইপে কথিত কথোপকথন দৈনিক আমার দেশে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের পর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মো. আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া। আবেদনের উপর প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের বেঞ্চ বিষয়ে সংবিধান ও তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী অপরাধীদের বিচার ও গ্রেপ্তারে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।