বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেউই ছাত্রলীগের কর্মী নন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ওপর দোষ চাপানো তাদের (বিএনপি-জামায়াত) ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত খুনি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন, মো. ইমদাদুল হক ও মো. ওবাইদুল কাদেরের পরিবারের সদস্যদের পরিচয় ও নানা তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের পরিচয় হলো—
মো. ওবায়দুল কাদের: তাঁর বাবা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁর বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের বড় নেতা ছিলেন। ওবায়দুল কাদের আগে শিবিরের কর্মী ছিলেন।
মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল: তাঁর বাবার নাম আনছার আলী। তিনি কর অফিসের একজন অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন। তাঁর বড় ভাই পটুয়াখালী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক।
মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ: তিনি ভোলার একটি মাদ্রাসা থেকে আলিম ও ফাজিল পাস করেন। তাঁর নানা কুখ্যাত রাজাকার। তাঁর বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি।
মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন: তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ছিনতাই, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মো. ইমদাদুল হক: তাঁর বাড়ি যশোরে শার্শা উপজেলায়। ইমদাদুলের চাচা শাহজাহান আলী জামায়াতের কর্মী।
সাইফুল ইসলাম : তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র।
আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বজিতের খুনিদের গ্রেপ্তারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু বিশ্বজিতের নয়, হরতাল ও অবরোধে নিহত ও আহত সবার হতাহতের তদন্ত হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তারা যে-ই কেউ হোক, তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।