রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে বুধবার বিকালে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রয়াত চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর তার মরদেহ দাফনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে লালবাগ শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী জানান, আমিনীর মরদেহ বাদ আসর লালবাগ শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণ কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে আমিনীর মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।
আমিনী ছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট থেকে তিনি ২০০১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিকাল তিনটা ২৫ মিনিটে আমিনীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
জাতীয় ঈদগাহের বিশাল প্রাঙ্গণ অতিক্রম করে তোপখানা রোড়, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, শিক্ষাভবন ও মৎসভবনের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে তারা জানাজায় শরিক হন। ওই সময় জাতীয় ঈদগাহের চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন মুফতি আমিনীর সহপাটি হাজী বাল্য রোড মসজিদের খতিব ও লালবাগ মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ মুহাদ্দিছ হযরত মাওলানা আবদুল হাই।
জানাজার আগে প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধ্ ানিবেদন করে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা আহমেদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা নুর হোসেন কাশেমী, খেলাফত মজলিশের একাংশের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, অপর অংশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি গোলাম রহমান, চট্টগ্রাম বাবুনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মহিবুল্লাহ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস প্রমুখ।