অবরোধের সময় পুরান ঢাকায় বিশ্বজিত দাস হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা বললেও দুই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ছয়জনকে সনাক্ত করেছেন কেবল, আটক করেননি।
রোববার বিরোধী দলের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে অবরোধ সমর্থক ও বিরোধীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর কয়েকজন যুবকের পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাঁখারিবাজারের দর্জির দোকানি বিশ্বজিত। পরদিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই হামলা চালায়।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, অবরোধের দিন বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যায় জড়িতরা কেউই ছাত্রলীগে ‘সক্রিয়’ নয়। তাদের অনেক আগেই ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
“বহিষ্কৃতরা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। জড়িতদের মধ্যে ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আজকের মধ্যেই গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”
তবে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ কমিশনার মুনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা বিশ্বজিত হত্যা মামলায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেননি।
“আমরা ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকার ছবি দেখে ছয়জনকে সনাক্ত করেছি। তাদের নাম ঠিকানাও পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এদের মধ্যে কয়েকজেন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলায় আমাদের থানায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে বিশ্বজিতের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছয় জনের নাম-পরিচয় পেয়েছি।”
রোববার পুরান ঢাকার জজ কোর্টের সামনের এলকায় পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত বিশ্বজিতকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় রাতেই সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এসআই মাহবুবুল আলম।