এখনো অবরুদ্ধ বিএনপি অফিস। মঙ্গলবার হরতালের সকালে পার্টি অফিসের সামনে অবস্থান নেওয়া র্যাব-পুলিশ-গোয়েন্দাদের সতর্কতায় কিছুটা ঢিলে ভাব বোঝা গেলেও দুপুর পর্যন্ত অবরোধ পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
পার্টি অফিসের ভেতরে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের টান টান উত্তেজনা কমে এসেছে বেশ। ভেতরে রান্না হচ্ছে দুপুরের খাবার। গেটে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যেও উত্তেজিত ভাবটা আর নেই।
সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পার্টি অফিসে এসেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ। আর প্রতিজনের সঙ্গে দু’একজন করে কর্মীও এসেছেন পার্টি অফিসে। যদিও সাকুল্যে পার্টি অফিসের ভেতরে নেতাকর্মীর সংখ্যা জনা পঞ্চাশেক হবে।
সোমবার পার্টি অফিসে রাত কাটানো যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলও রয়ে গেছেন পার্টি অফিসে।
পার্টি অফিস অবরোধ করে রাখার কথা পুলিশ অস্বীকার করলেও বিএনপি নেতারা কিন্তু নিজেদের অবরুদ্ধই মনে করছেন। এমনকি পার্টি অফিস থেকে কাউকে বেরও হতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশি প্রহরার কারণে কর্মীরাও আসতে পারছেন না পার্টি অফিসের কাছে।
শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ হিরুকে পার্টি অফিসের গেট থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার পর জয়নুল আবদিন ফারুকের তাই আক্ষেপ, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখার কথা অস্বীকার করলেও তারা আমাদের অবরুদ্ধই করে রেখেছে।”
এদিকে সকাল থেকে শুরু করে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জামাল শরিফ হিরু ও দুই কর্মী ছাড়াও এক পথচারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়া এ পর্যন্ত জোনাকি সিনেমা হল, স্কাউট ভবন ও আনন্দভবনের কাছে মোট চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে নয়াপল্টন এলাকায়। তবে এখন পর্যন্ত কোন ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেনি।