মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৮ রানে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০০৮ সালে করাচীতে ২০৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ১ উইকেট ১৭৯ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ ওভার ২ বলে অনামুল হকের (১২ বলে ২২) সঙ্গে তামিম ইকবালের ৪৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়।
দ্বিতীয় উইকেটে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে তামিম ৯৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রানের জুটি গড়লেও হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
উইকেট নিতে না পারলেও হিসেবী বোলিং করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। পেসারদের বিপক্ষে সহজেই রান পেলেও স্পিনারদের বিপক্ষে লড়াই করতে হয়েছে তামিম-মাহমুদুল্লাহকে।
শেষ পর্যন্ত ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। তার ৬১ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে এটি সর্বোচ্চ রান। এর আগে এ বছরই সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রান করেন সাকিব আল হাসান।
প্রথম অর্ধশতক পাওয়া মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। তার ৪৮ বলের ইনিংসটি ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার সমৃদ্ধ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ৩০ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও ডোয়াইন স্মিথকে বিদায় করে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ সফরে শেষ ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন অতিথিদের সেরা ব্যাটসম্যান গেইল।
তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভোর (২৮ বলে ৪১) সঙ্গে মারলন স্যামুয়েলসের ৬৬ রানের জুটি ধাক্কা সামাল দিয়ে অতিথি শিবিরে স্বস্তি ফেরায়। ব্রাভোকে স্ট্যাম্পিংয়ে পরিণত করে স্বাগতিকদের জন্য বিপজ্জনক জুটি ভাঙ্গেন সোহাগ।
এর পর জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ বলে দুটি ছক্কার সাহাযে ১৫ রান করে পোলার্ডের বিদায়েও স্বস্তি পান নি বাংলাদেশের বোলাররা। পঞ্চম উইকেটে লেন্ডল সিমন্সের (১২ বলে অপরাজিত ১৮) সঙ্গে ৩২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে দুশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান স্যামুয়েলস।
ব্যক্তিগত ১০ ও ২৫ রানে দুবার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হতে জীবন পাওয়া স্যামুয়েল শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৪৩ বলের ইনিংসটি ৯টি ছক্কা ও ৩টি চার সমৃদ্ধ। টি- টোয়েন্টিতে এটিই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
৬৩ রানে ২ উইকেট নেয়া রুবেলের শেষ ওভার থেকেই আসে ২৯ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে সোহাগ, আনামুল ও মমিনুল হকের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৭/৪ (স্মিথ ২৪, গেইল ৬, স্যামুয়েলস ৮৫*, ব্রাভো ৪১, পোলার্ড ১৫, সিমন্স ১৮*; রুবেল ২/৬৩, জিয়া ১/১৬, সোহাগ ১/৪৪)
বাংলাদেশ: (তামিম ৮৮*, আনামুল ২২, মাহমুদুল্লাহ ৬৪*; রোচ ১/৩৬)