আইসিটিতে সহজ শর্তে এমটিবি ঋণ

আইসিটিতে সহজ শর্তে এমটিবি ঋণ

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শেষদিনের আকর্ষণ ছিল শিশুদের ‘চিলড্রেন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক আয়োজন।

এতে বক্তা ছিলেন নবীন ওয়েব ডেভলপার স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষার্থী ফারদীম মুনির, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আই জিনিয়াস রিফাত হাসান, আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের পদকজয়ী বৃষ্টি শিকদার, ওয়াইএমসিএ স্কুলের শিক্ষার্থী আরিফা হোসেন ও বাংলা উইকিপিডিয়ার অবদানকারী শিক্ষার্থী সাফায়ার হোসেন খান। এতে বক্তাদের সঙ্গে শ্রোতারাও ছিল শিশু।

বক্তারা নিজেরা কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেন এবং এর মাধ্যমে কি করা সম্ভব তা তুলে ধরা হয়। এ আয়োজনে নিজেদের আলাদা প্রেজেন্টেশন নিজেরা তৈরি করে দেখায় তারা। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘টেক ব্যাক দ্য টেক: এমপাওয়ারিং ওমেন থ্রো আইসিটি’ শীর্ষক সেমিনার।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স বিভাগের ডিন অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটির সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা, অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক জন মুলমন ছাড়াও অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে নারীরা নিজেদের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তা পেতে পারেন এ বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়।

একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাইবার ক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনার। বিকেলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আইটি জিনিয়াসদের জন্য ঋণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল

জনপ্রিয় এ অধ্যাপক বলেন, ১৮ শতাংশ সুদের ঋণ দানের খবরে যতটা খুশি হয়েছি, তার চেয়ে বেশি খুশি হতাম যদি সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে থাকত। তিনি আইটি উদ্যোক্তাদের জন্য সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান।

এ অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা জানান, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যেক্তাদের (এসএমই) সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে এমটিবি। ব্যাংকটির নতুন এ পণ্যের নাম দেওয়া হয়েছে এমটিবি আইটি জিনিয়াস। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল ফোন অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ডাটা অ্যান্ট্রি প্রসেসিং ও এক্সপার্ট এমন নানা ব্যবসা উদ্যোগে এ ঋণ পাওয়া যাবে। সন্ধ্যায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ অনুষ্ঠানে ড. দীপু মনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা আসলে ১৯৯৬ সালে শুরু। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন চালুর মধ্যে দিয়ে এ উদ্যোগের বাস্তবিক সূচনা হয়। এরই মধ্যে দেশে ৩ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও অক্টোবর ২০১২ সালে বাংলাদেশ থ্রিজি প্রযুক্তিতে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের তথ্য প্রাপ্তীর অধিকার এবং সফল ব্যবহার আরও সুনিশ্চিত হবে। আগামীর মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে এ উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণে সক্রিয় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য বিজ্ঞান প্রযুক্তি শীর্ষ খবর