|
আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উপযোগী ‘পরিবেশ’ সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন সফররত জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি।
ফার্নান্দেজ তারানকো বলেন, “আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে পৌঁছা জরুরি।”
“কীভাবে এই ঐকমত্য তৈরি হবে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু সমাধানের পথ খুঁজতে জাতিসংঘ সংলাপ ও মতবিনিময়কে উৎসাহিত করে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানে সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে ফার্নান্দেজ তারানকোর নেতৃত্বে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সফরে এল।
রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তারানকো বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি খুঁজে বের করা দেশের রাজনৈতিক দলের কাজ।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ায় আগামী নির্বাচনের সময় ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি।
তারানকো বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অধীনে বাংলাদেশিদের দ্বারা অবশ্যই দেশের মধ্যে পদ্ধতি তৈরি হতে হবে।
“ওই পদ্ধতি অবশ্যই প্রধান সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।”
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।
তারানকো জানান, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষমতা বাড়াতে বৈশ্বিক এই সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।