একদিন লেনদেন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নির্ধারিত সময় সকাল ১১টা থেকে লেনদেন শুরু হলেও দিনের শুরুতেই সূচকের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। প্রথম আধঘণ্টায় সূচকের ব্যাপক দরপতনের ফলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং ওই আধঘণ্টার লেনদেন বাতিল করার দাবি জানায়। প্রথম আধঘণ্টার লেনদেন বাতিল করা না হলে সিএসই ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিনিয়োগকারীরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সাড়ে ১১টায় লেনদেন শুরু হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আধ ঘণ্টা আগে কেন লেনদেন শুরু করা হয়েছে প্রশ্ন তুলেছে বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, বুধবার লেনদেন শুরুর পর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতন ঘটতে থাকে। সিএসই সূত্র জানায়, দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ১৩৬ পয়েন্ট সূচকের পতন ঘটে।
ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থেই চট্টগ্রামে আধঘণ্টা আগে লেনদেন শুরু করা হয়েছে।
সূচকের পতন অব্যাহত থাকায় সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লেনদেন বাতিলের দাবিতে আগ্রাবাদের স্টক এক্সচেঞ্জের সামনের সড়কে জড়ো হতে শুরু করে বিনিয়োগকারীরা। এরপর বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়কের শফি ভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে তারা।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ব্যাপারে সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় বিনিয়োগকারীদের হৈচৈ ও উত্তেজনা থাকার কারণে আধঘণ্টা দেরিতে লেনদেন শুরু করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে বিনিয়োগকারীরা বেআইনীভাবে উপার্জিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করার সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
সরকারি চাকরিজীবীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানায় বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ইনভেস্টর ফোরামের আহবায়ক আসলাম মোর্শেদ ও যুগ্ম আহবায়ক এম এ কাদের।