দ্বিতীয় দিন শেষে মুশফিকুর রহিম আগের দিনের ৬০ এবং ৪০ শতাংশের তত্ত্বটা মেলাতে পারছিলেন না। সব ভন্ডুল করে দিয়েছে ফিদেল এডওয়ার্সের এক স্পেল বোলিং। ক্যারিবিয় ওই দ্রুতগতির বোলারের পাঁচ ওভারের বাংলাদেশের ইনিংস ধ্বসে পড়েছে।
গহীন গিরি খাদের কিনারা থেকে যে শেষপর্যন্ত তারা বেরিয়ে আসতে পেরেছেন দিন শেষে ওটাই স্বস্তির জায়গা। অধিনায়কের মতে,“একসময় তো মনে হচ্ছিলো শূন্যতে চলে গেছি। পরের দিকে সাকিব, নাঈম ভাই, নাসির তবুও দলের ইনিংসটাকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে। এখন আমরা যদি ৫০ বা ৬০ রান করতে পারি তারা হয়তো ৯০ অথবা ৮০ রানে এগিয়ে থাকবে। তৃতীয় ইনিংসে স্পিনার ধরবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে স্পিন খেলা। ফিল্ডিং ভালো করতে পারলে এবং তাদেরকে ১৫০ বা ২০০ রানের মধ্যে অল-আউট করে দেওয়া সম্ভব হলে, হয়তো চতুর্থ ইনিংসে ৩০০’র বেশি লক্ষ্য দিতে পারবো। তাহলেও আমাদের একটা আশা থাকবে। আমার মনে হয় ম্যাচ এখনো আমাদের হাতে আছে।”
উইকেট ভালো। বলও আহামরি কিছু হয়নি। সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর অবলীলায় এ কথা বলছেন। তাহলে কি এডওয়ার্সকে উইকেট দিয়ে এসেছেন শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান? এখানেও আপত্তি আছে অধিনায়কের। নিজের মতো করে একটা ব্যাখ্যা তিনি দিলেনও,“তামিমেরটা আসলে দুর্ভাগ্য। অনেক ভালো ক্যাচ ছিলো। আবির ভাই এবং আমি বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। রকিবুলেরটা তো সোজা বল নিচু হয়ে গেছে। আসলে বলতে গেলে একটি স্পেলের কারণে হয়েছে। ওই স্পেলে পাঁচ উইকেট পাওয়া এইরকম উইকেটে কঠিন।”
যে ভাবে ইনিংসের শুরুটা হয়েছিলো, তাতে ফলো অনের শঙ্কা ঘিরে ধরে ছিলো বাংলাদেশ দলকে। ভাগ্য ভালো পরিস্থিতি সামাল দিয়ে রানের ব্যবধানটা কমিয়ে আনা গেছে। লেজের ব্যাটসম্যানরা যদি সেখানে ১০০ রানের মতো যোগ করতে পারলেই লড়াই জমে উঠবে। সেক্ষেত্রে উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ক্যারিবিয়াদের চাপে রাখতে পারবে স্বাগতিক শিবির। মুশফিকুর বলছিলেন,“উইকেট থেকে আরেকটু সহায়তা আশা করছি। সেটা হয়েতো তৃতীয় ইনিংসে পাওয়া যাবে। সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে এবং তাদেরকে কম রানে অল-আউট করতে পারলে ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”
দলের মূল পারফরমার সাকিবও মনে করেন খেলা হাতছাড়া হয়ে যায়নি। একটু গুছিয়ে খেলতে পারলেই টেস্টের রং বদল হবে। “৩৫০ রান হলেও আমরা মোকাবেলা করতে পারবো। এরচেয়ে বেশি হলে চেজ করা সম্ভব হবে না।”
সত্যি বলতে দুই এডওয়ার্ডসের কাছে মার খেয়েছে বাংলাদেশ দল। কির্ক এডওয়ার্স ১২১ রানের ইনিংস খেলে দলের পুঁজি বাড়িয়েছেন। আর ফিদেল এডওয়ার্ডস এক স্পেলে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন।