ডিক্রি বাতিল করলেন মুরসি

ডিক্রি বাতিল করলেন মুরসি

মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির জারি করা ডিক্রিটি অবশেষে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিতর্কিত খসড়া সংবিধানের ওপর আহূত আগামী ১৫ ডিসেম্বর গণভোটের তারিখ অপরিবর্তিত রয়েছে।

মিশরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার মুরসি ও অন্যান্য রাজনীতিক এবং গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তাদের মুখপাত্ররূপে সেলিম আল আওয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সাংবিধানিক ডিক্রিটি এই মুহূর্ত থেকে বাতিল হল।”

তবে সাংবিধানিক গণভোট তার নিয়মেই হবে। কেননা প্রেসিডেন্ট এটি স্থগিত করলে আইনি ভাবে তা হবে অবৈধ।
এরআগে ডিক্রি ও গণভোট অনুষ্ঠান বাতিলের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ডাক দেন মুরসি। প্রধানবিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্টের সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। তাদের দাবি, ডিক্রি এবং গণভোট দুটোই বাতিল করতে হবে।

এদিকে, মিশরে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। অন্যথায় এ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর তাদের প্রথম বিবৃতিতে সরকারী প্রতিষ্ঠান ও নির্দোষ নাগরিকদের সুরক্ষার প্রত্যয় জানিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।

কায়রোতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিবৃতি দিল তারা।

মিশরের পার্লামেন্টে মুরসি সমর্থক ইসলামপন্থীদের আধিপত্য রয়েছে। সেই পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে খসড়া সংবিধান অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

খসড়া সংবিধানটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং নারী অধিকার রক্ষায় সহায়ক নয় বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।

গত ২২ নভেম্বর ক্ষমতা অধিগ্রহণ করে একটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারি করেন মুরসি। এই ডিক্রি জারিকে কেন্দ্র করে হোসনি মুবারকের পতনের পর আবারও উত্তাল হয়ে ওঠেছে মিশর।

বিরোধীরা তাকে নতুন ‘ফারাও’ বলে অভিহিত করে একনায়ক হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করছে।

এর প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মধ্যে মুসরির ইসলামপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্টে ‘তড়িঘড়ি’ করে খসড়া সংবিধান অনুমোদন করে তা প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এরপর সংবিধানের ওপর গণভোটের ডাক দেন প্রেসিডেন্ট মুরসি।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর