নাটোরে দুজন গুলিবিদ্ধ, দুলু গ্রেপ্তার

নাটোরে দুজন গুলিবিদ্ধ, দুলু গ্রেপ্তার

গভীর রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে দুইজন আহত হওয়ার পর নাটোরের আলাইপুর এলাকা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কায়ুমুজ্জামান খান বলেন, রাত ১১টার দিকে আলাইপুর এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি দুলুর বাসার মূল ফটকের সামনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে শহর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক পলাশ (৩২) ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি দেওয়ান শাহীন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার পরপরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ দুলুর বাসা ঘিরে ফেলে। সোয়া ১২টার দিকে সদর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই বাসায় ঢোকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দুলুর বাকবিতণ্ডাও হয়। পুলিশ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তার বাসার বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায়।

তল্লাশি শেষে রাত ১টার দিকে পুলিশ দুলু এবং আসলাম, আহমেদুল ও শামীম নামের তিন বিএনপি কর্মীকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়।

যুবলীগ নেতা পলাশকে গুলি করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার কায়ুমুজ্জামান জানান।

আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, পিঠে গুলিবিদ্ধ পলাশকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্যদিকে গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেওয়ান শাহীনের কান ফুটো হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, “যুবলীগের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকে হত্যা করার জন্য বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।”

নাটোর সদর থানার ওসি আব্দুল আল মামুন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি