বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম বলেছেন, কারও মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করতে পারেন। অতীতে এরকম মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ার প্রশ্নে অনেক রিটের জবাবে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিভিক বাংলাদেশের আয়োজনে বাংলাদেশ ডিগনিটি ফোরামের জাতীয় সম্মেলনে তিনি অন্যতম প্রধান আলোচক হিসেবে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিক বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ও ডিগনিটি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ দৌলা। অনুষ্ঠানে ডিগনিটি ফোরামের চেয়ারপারসন কামাল লোহানী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পেলিং ভিশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ড. পামেলা এ. গারলফ। অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনায় মডারেটরের ভূমিকায় ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মর্যাদা সর্বজনীন ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে পদমর্যাদাসংশ্লিষ্ট ক্ষমতা অপব্যবহারের ফলে আমরা প্রত্যেককে মর্যাদা লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছি। ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটছে পদমর্যাদাবাদী আমলাতন্ত্রে ও নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থায়। বক্তারা বলেন, মর্যাদাশীল সমাজ নির্মাণ করতে হলে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোসমূহে বহু সাংস্কৃতিক চর্চা গড়ে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পদমর্যাদাবাদী আচরণ বন্ধ করতে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্মেলনে সবার জন্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।