দেশের ১০ লাখ পরিবারে পৌঁছেছে গ্রামীণ শক্তির সৌর বিদ্যুৎ। পরিবার পর্যায়ে এটা এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচি। নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস-এর উদ্যোগে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা এবং গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামীণ মানুষের কাছেও যে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব, তা গ্রামীণ শক্তি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে প্রমাণ করলো। বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতাদের সহায়তায় পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডিসিওএল-এর অর্থায়নে গ্রামীণ শক্তি সফলভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১০০০-এরও অধিক সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাম আলোকিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে ৮০ লাখ মানুষ সুফল ভোগ করছে। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটেছে। মসজিদ, গ্রামীণ হাসপাতাল আলোকিত হয়েছে। কাজের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। দোকানপাট, মুদি দোকান, ফার্মেসি, দর্জির দোকান, সেলুন অধিক রাত পর্যন্ত খোলা রাখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। গ্রামীণ শক্তির ব্যাপক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী চার বছরের মধ্যে গ্রামীণ শক্তি আরও ১০ লাখ সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।