জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বলেছেন, আমার জনপ্রিয়তার ভয়ে সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয়
সরকার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, সাহস থাকলে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতি চালু করুন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বলেন, তিন দল একজোট হয়েও আমার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। এরশাদ বলেন, অরাজকতা ঠেকিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ’৯০ সালে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছিলাম। আজও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। তবে এখনও সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি। গতকাল সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এরশাদ এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহম্মদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জিয়াউদ্দিন বাবলু, সুনীল শুভরায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, ভাইস-চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, কারও ক্ষমতা নেই আমাকে বন্দি করে রাখার। যারা বলে- আমি জেলে যাওয়ার ভয়ে মহাজোট ছাড়তে পারছি না, তারা ভুল বলেছে। আমি জেলে যেতে ভয় পাই না। সময় হলেই মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাবো। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে এরশাদ বলেন, এ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। তাই আমার দলের পক্ষ থেকে কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি। নির্বাচনে যে জিতবে তার জন্যই আমার দোয়া থাকবে। তিনি বলেন, মানুষ এখন মনে করে জাতীয় পার্টি দেশের জন্য কিছু করতে পারবে। তাই জাতীয় পার্টি একক রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে যাবে। তবে পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেবে দলকে কোন পথে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন। ৬ই ডিসেম্বর দিনটি জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে। ঐতিহাসিক ৬ই ডিসেম্বর ১৯৯০ সালের এই দিনে তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন।