১৮ দলীয় জোটের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিলে হরতাল ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাদের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিসহ বেশকিছু দাবি আদায়ের লক্ষে ৯ ডিসেম্বর জেলা, উপজেলা, মহানগরগুলোতে রাজপথ অবরোধ করবে ১৮ দলীয় জোট।
আর এ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে হরতাল ও রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে ১৮ দলীয় জোট।
অবরোধ সফল করতে ইতোমধ্যে সারাদেশে ১৫টি দল সফর করেছে। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনের আগামী দিনের পদ্ধতি ও কৌশল নির্ধারণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১৮ দলীয় জোটের এক দায়িত্বশীল নেতা বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় যে কর্মসূচি দিয়েছি, তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে।তবে, এ কর্মসূচিতে বাধা দিলে সরকার এর জন্য দায়ি থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “ ৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয়, তাহলে হরতাল ও রেলপথ অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, ঢাকা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম প্রমুখ।