নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী রোববার আট ঘণ্টা রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
এই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার দলীয় ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
গত ২৮ নভেম্বর নয়া পল্টনে জনসভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করে এরপরও দাবি পূরণ না হলে লাগাতার হরতাল ডাকার হুমকি দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
১৮ দলীয় জোটের ডাকে অবরোধে দেশবাসীকে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওই দিন রাজপথে গাড়ি না নামাতে পরিবহণ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির এই অবরোধের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, বিচারের সম্মুখীন যুদ্ধাপরাধীদের ‘বাঁচাতে’ বিজয়ের মাসে এই কর্মসূচি ডেকেছে।
কর্মসূচির তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার নিজের গুলশানের কার্যালয়ে প্রথমে দলের নীতি-নির্ধারক এবং পরে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, তারা রোববার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা রাজপথে থাকবেন।
“এই অবরোধ হবে প্রতীকী প্রতিবাদ। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ সরকারকে জানিয়ে দেবে, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে।”
দেশব্যাপী এই কর্মসূচি সফল করতে বৈঠকে আলোচনার পর সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিএনপির মুখপাত্র জানান।
তিনি বলেন, কর্মসূচি সফল করতে ১৮ দলীয় জোট নেতারা ১৫টি দলে ভাগ হয়ে সারাদেশ সফর করে এসেছেন।
কর্মসূচি নিয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছিলেন আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার, সারোয়ারি রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও মির্জা ফখরুল।
এরপর ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিক দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খেলাফত মজলিশের মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, বিজেপির শামীম আল মামুন।
জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির আবদুল মবিন, পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ ভাসানীর শেখ আনোয়ারুল হক, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জমিয়তে ওলামা ইসলামের মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ডেমোক্রেটিক পার্টির সাইফুদ্দিন মনিও বৈঠকে ছিলেন।