জামায়াতকে প্রতিহত করতে মার্চ পর্যন্ত মাঠে থাকবে ১৪ দল

ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে ১৪-দলের শরিকরাও রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডব রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে এসব কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

দুই-এক দিনের মধ্যেই এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র আরো জানায়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ দল।

সভার শুরুতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, চলার পথে সরকারের অনেক ভুল-ত্রুটি থাকলেও অনেক সফলতাও আছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এই বিচারটা করতে চাই। বিচারের ব্যাপারে সরকারের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের কর্মস‍ূচি প্রণয়নের জন্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ‍ুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন।

সভায় রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বিরোধী দলের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চক্রান্ত প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। এর জন্য ১৪ দলকে সক্রিয় করতে হবে।

এদিকে সূত্র আরো জানায়, সভায় শরিক দলগুলোর নেতারা তাদের বক্তব্যে সম্প্রতি জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব এবং এ ব্যাপারে বিএনপির সমর্থন নিয়ে কথা বলেন। জামায়াত-শিবির দেশকে ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

স্বাধীনতা বিরোধী এই শক্তিকে রাজপথ থেকে প্রতিহত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শরিক দলগুলোর নেতারা।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শরিকদের সঙ্গে একমত পোষণ করে অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সুত্র জানায়,  সভায় গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিষ্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামকে ফোন করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। মুক্তিবার্তায় যাদের নাম ছিল তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।

সূত্র জানায়, সভায় গণতন্ত্রী পার্টির নেতা দিনাজপুরের একটি গরিব এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক এবং পার্বত্য এলাকার গরিব বৌদ্ধদের কিছু এনজিওর মাধ্যমে খ্রীষ্টান বানানোর চেষ্টা চলছে বলে তথ্য তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর