যুদ্ধাপরাধের মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডাকা হরতালে সুপ্রিম কোর্টে কোন কর্মসূচি ছিলো না জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের। তবে হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
ইসলামিক লইয়ার্স কাউন্সিল নামে জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের একটি সংগঠন থাকলেও মঙ্গলবার তাদের কার্যক্রম দেখা যায়নি আদালতে।
তবে দেশব্যাপী জামায়াত শিবিরের ষড়যন্ত্র, বিজয়ের মাসে অবৈধ হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের জোট সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
উত্তর হলে আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি কেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ, মো. মোস্তফা, সম্পাদক মো. মমতাজ উদ্দিন মেহেদি, পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত চৌধুরী, সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, মো. আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া ও মো. শহিদুল ইসলাম।
এদিকে হরতালের মধ্যেও সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিরা এজলাসে বসেন। বসেছে হাই কোর্ট বিভাগের দুটি বেঞ্চও।
বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ এবং বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত দুটি হাই কোর্ট বেঞ্চ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আদালতের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মো. মামুনুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আদালতে আজকে প্রায় ১৪২ মামলা কার্য তালিকায় ছিল। নম্বর ডাকতে ডাকতে কার্য তালিকার শেষ পর্যন্ত গিয়েছে।”
শামসুদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বাধীন আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ হরতাল হওয়া সত্ত্বেও বিচারপতিরা এজলাসে আসন গ্রহণ করেছেন। তারা উপস্থিত আইনজীবীদের থেকে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি নিয়েছেন।”
হরতালে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক শাখায় উপস্থিতি ছিলো প্রায় অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। তবে বিচারপ্রার্থীদের ভীড় কম ছিল প্রায় সব শাখাতেই।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষনেতাদের মুক্তি এবং সমাবেশের অনুমতি না দেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামী সোমবার দুপুরে এই হরতাল ডাকে। তাদের প্রধান শরিক বিএনপিও এই হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।