যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্যই জামায়াত ও বিএনপি যৌথভাবে হরতাল ডেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৭৩তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এই হরতাল শুধু জামায়াতে ইসলামীর নয়, বিএনপিরও।
“জামায়াতে ইসলামী আজকে যে হরতাল ডেকেছে এটা আসলে জামায়াতে ইসলামীর নয়। জামায়াত বিএনপি যৌথভাবে হরতাল ডেকেছে, এই দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য।”
“একজন প্রকাশ্যে আরেকজন পরোক্ষভাবে প্রেসরিলিজ দিয়ে এই হরতাল আহ্বান করেছে, এটা আজ দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে”, যোগ করেন হানিফ।
হরতালের প্রতি বিএনপির নৈতিক সমর্থনকে ‘দ্বৈতনীতি’ আখ্যায়িত করে হানিফ বলেন, “আমরা আপনাদের এই দ্বৈতনীতি পরিহার করে একটি নীতিতে আসার আহ্বান জানাই। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যদি শক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়–ন। এদের বিচারকাজে সর্বোচ্চ সহায়তা করুন।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, “আর যদি সেটা না হয়, আর যদি তাদের (জামায়াত) সঙ্গেই থাকতে চান, তাহলে দয়া করে নিজেদের আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করবেন না। বাংলার মানুষ আপনাদের এই দ্বৈতনীতি, দ্বৈতকথা আর দেখতে চায় না।”
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষনেতাদের মুক্তি এবং বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিলে তাদের সমাবেশ করতে না দেয়ার কথা বলে বিএনপিও এই কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন দেয়।
এ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, “আপনারা এবং জামায়াতে ইসলামী একে অপরের পরিপূরক- এটা বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে। সেই নৈতিকতায় আপনার সমর্থন করেছেন কিনা এটাও বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপির চলা সম্ভব না। তারা পরস্পর আত্মার গাঁটছড়া বেধেছে।
হরতালের সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন।