কেরানীগঞ্জের স্কুলছাত্র পরাগ মণ্ডল অপহরণের ‘মূল হোতা’ মুক্তার হোসেন আমীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে পঠিয়েছে আদালত।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে আদালতে হাজির করে ১২ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিলেন।
গত ১১ নভেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিম শুভাঢ্যা এলাকায় প্রথম শ্রেণীর ছাত্র পরাগকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার মা লিপি রানী মণ্ডল (৩৫), বোন পিনাকী মণ্ডল ও গাড়িচালক নজরুল ইসলামকে গুলি করে তারা।
ওই রাতেই পরাগের দাদি সাবিত্রী মণ্ডল একটি মামলা করেন। অপহরণের তিনদিন পর আঁটি বাজারে নয়াবাজার এলাকার রাস্তার পাশে পাওয়া যায় প্রায় অচেতন পরাগকে।
পরাগকে উদ্ধারের পরদিন এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মামুন নামে একজনকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর র্যাব একই দিনে জাহিদুল হাসান, আলী ওরফে রিফাত, কালা চাঁন, আলফাজ, রিজভী আহমেদ অনিক ও আবুল কাশেম নামে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
এদের মধ্যে জাহিদুল, কালা চাঁন ও আলী ওরফে রিফাত অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন, যাতে অপহরণ পরিকল্পনার ‘মূল হোতা’ হিসাবে আমীরের নাম বলেন তারা।
এরপর ২৪ নভেম্বর গাজীপুর সদরের মুদাফা তিলারগাতি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের পর একটি বাড়ি থেকে আমীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, “পরাগ অপহরণের মূল নায়ক আমীর। তার পরিকল্পনাতেই শিশু পরাগকে অপরহণ করা হয়েছিল।”
আমীরের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলার আদেশ দেন। এ সময় আমীর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচারের দাবি করেন।
তিনি আদালতকে বলেন, “আমি এখনও সুস্থ নই। অথচ জোর করে আমাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।”
শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পরাগ অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শুভাঢ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক ওরফে মোল্লা জুয়েল ও মামুনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠায়।