অগ্নি নিরাপত্তা দেখতে কারখানায় অভিযান

তাজরিন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ জন সদস্য ১৫টি দলে ভাগ হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কারখানায় অভিযান শুরু করেন।

এই অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুস সালাম জানান, কারখানাগুলোতে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ঠিকমতো আছে কি না; আগুন লাগার পর বের হওয়া এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ আছে কি না এবং প্রতিটি কারখানায় প্রশস্ত জরুরি নিগর্মন সিঁড়ি আছে কি না তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

আব্দুস সালামের দল দুপুর পর্যন্ত জিরাবো এলাকায় শার্প ডাইং প্রিন্টিং ইন্ডান্ড্রিজ লিমিটেড, লরেস্ক ফ্যাশন লিমিটেড, মাসকট গ্রুপের মাসকট নিট লিমিটেড, মাসকট ফ্যাশন লিমিটেড ও মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের পাঁচটি কারখানায় অভিযান চালায়।

“মাসকট গ্রুপের তিন কারখানায় সব ঠিকঠাক পাওয়া গেলেও অভিযানে দেখা গেছে শার্প ও লরেস্কে অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এ দুটি কারখানার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শ্রমিকদেরও কখনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি।”

ফায়ার সার্ভিসের অভিযান দল আসার খবর পেয়ে কারখানা দুটির মালিকপক্ষ আগে সটকে পড়ে বলেও উল্লেখ করেন আব্দুস সালাম।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের পোশাক কারখানা তাজরিন ফ্যাশনসে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১০ জনের মৃত্যু হয়।

এদের মধ্যে অধিকাংশই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেও আগুন নেভার পর দেখা যায় কারখানার বিভিন্ন ফ্লোরে দেয়ালে ঝোলানো অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রগুলো ব্যবহারই করা হয়নি।

এরপর গত সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কারখানায় একাধিক সিঁড়ি না থাকলে ওই সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, কারখানাগুলোতে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবেন তারা।

এরপর রোববার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও ত্রুটি পাওয়া গেলে, সব ধরনের সরঞ্জাম দেখাতে না পারলে ওই কারখানরা বন্ধ করে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ