মিয়ানমারে খনিবিরোধী আন্দোলনে চড়াও পুলিশ

মিয়ানমারে খনিবিরোধী আন্দোলনে চড়াও পুলিশ

মিয়ানমারে তামা খনি স¤প্রসারণের প্রতিবাদে আন্দোলনরতদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। এমন কী তাদের তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় মনিওয়া শহরের কাছে তামা খনি স¤প্রসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

কর্তৃপক্ষের খনি স¤প্রসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁবু টানিয়ে একনাগাড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল আন্দোলনকারীরা।

তারা জানিয়েছে, পুলিশের হামলায় তাদের কয়েক ডজন কর্মী আহত হয়েছে এবং তাদের তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

খনি স¤প্রসারণে জোর করে ভূমি থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির কৃষক, ভিক্ষু ও আন্দোলনকারীরা সোচ্চার হয়ে ওঠে।

মিয়ানমারের সর্ববৃহৎ এই তামা খনিটির মালিক যৌথভাবে দেশটির সেনাবাহিনী ও চীনের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নরিনকো।

মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা অং সান সুচি বৃহস্পতিবার বিক্ষোভস্থল পরিদর্শন করে আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া শুনবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দীর্ঘ সেনা শাসনের পর স¤প্রতি গণতন্ত্রে উন্নীয় হওয়া মিয়ানমারে বিভিন্ন সংস্কারের ধারাবাহিকতায় গণ প্রতিবাদ বিষয়ক আইনও শিথিল করা হয়েছে।

কিন্তু চলতি সপ্তায় দেশটির সরকার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভস্থল থেকে সরে যেতে সময়সীমা বেঁধে দেয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, খনি স¤প্রসারণে অধিগ্রহণস্থলে তাঁবু খাটিয়ে তারা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ এসে তাদের হঠিয়ে দিতে জলকামান ব্যবহার করে এবং তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

চলতি বছরের জুন থেকে কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা জানিয়েছে, দুই বছর আগে নতুন বাড়ি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের মধ্যদিয়ে বাধ্য হয়ে খনি স¤প্রসারণের জন্য জমি ছেড়ে দিতে চুক্তি করেছিল।

বিবিসির জোনাথন হেড স¤প্রতি ওই খনি এলাকা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ভূমিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ দানা বেঁধে ওঠা বিক্ষোভ-আন্দোলন মোকাবিলাই এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেটি কীভাবে করা হবে তাই দেখার বিষয়।

আন্তর্জাতিক