টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টের পর খুলনা টেস্ট হেরেছে ১০ উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জিতলো ২-০ তে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৮৭ (৯১.১ ওভার), দ্বিতীয় ইনিংস- ২৮৭ (৭০.১ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৬৪৮/৯ (২০০.৩ ওভার), দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০/০ (৪.৪ ওভার)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৮৭ রানে। প্রতিপক্ষকে ২৭ রানের লক্ষ্যে দেয়। জবাব দিতে নেমে ৪.৪ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ক্যারিবিয়রা। ক্রিস গেইল ২০ এবং কাইরান পাওয়েল ৯ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ৬৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শনিবার। ২৬১ রানের লিড নিয়ে স্বাগতিক দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।
২৬১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। সেখান থেকে ষষ্ঠ জুটিতে ইনিংস মেরামত করেন সাকিব আল হাসান ও নাসির হোসেন। তাদের জুটিতে আসে ১৪৪ রান।
চতুর্থ দিন পড়ন্ত বিকেলে সাকিব ৯৭ রানে আউট হন বীরাসামি পেরমলের বলে। ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসির হোসেন। শনিবার ৬ উইকেটে ২২৬ রান করেছিলো বাংলাদেশ। টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিন নাসিরের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ব্যাট করতে আসেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তিনি ২ রানে পেরমলের বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন। সোহাগ গাজীকেও থিতু হতে দেননি দ্রুত গতির বোলার টিনো বেস্ট। ৭ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে অফ স্পিনার সোহাগ।
নাসির হোসেনেরও এই টেস্টেও মেডেন সেঞ্চুরি করা হয়নি। সাকিবের মতো নার্ভাস ৯০তে তিনিও আউট। ৯৪ রানে টিনো বেস্টের বলে মারতে গিয়ে বোল্ড। লোয়ার মিডল-অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের এটি চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টেই ৯০ এর ঘরে আউট হলেন তিনি। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৬ রান করেছিলেন। দুই টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান নাসিরের। তিনটি অর্ধশতকে ২৬৩ করেছেন তিনি।
শেষ জুটিতে দুই পেসার আবুল হাসান ও রুবেল হোসেন ইনিংসটাকে টানতে পারেননি। এবার রুবেল হোসেন টিনো বেস্টের শিকার। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবুল হাসান ১৪ রানে অপরাজিত। ১২.১ ওভারে ৪০ রান দিয়ে বেস্ট তার বেস্ট বোলিং দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। আগের দিন তামিম ইকবাল, নাঈম ইসলাম এবং শাহরিয়ার নাফীসকে ফিরিয়েছেন তিনি।
পেরমলও নিয়েছেন তিনটি উইকেট। তার শিকার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। অপর উইকেটটি পেয়েছেন ফিদেল এডওয়র্ডস।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৮৭ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭ রান করে। অভিষিক্ত আবুল হাসান ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড ১১৩ রান করেন খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে। নাসির হোসেন প্রথম ইনিংসে ৫২, দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রান পেয়েছেন। সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৯৭ রান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ড্যারেন ব্রাভো ১২৭, মারলন স্যামুয়েলস ২৬০ ও শিবনারায়ন চন্দরপল ১৫০ রান করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন স্যামুয়েলস আর সিরিজ সেরা হয়েছেন চন্দরপল।