গত ৪ বছরে ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। ২০০৮ সাল শেষে ব্যাংকগুলো কর্তৃক সংরক্ষিত মোট মূলধনের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। মূলধনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৭৩ শতাংশ; বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৪৯ শতাংশ।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তরা বলেন, ব্যাংকগুলোর মুনাফার একটা বড়ো অংশ মূলধনে স্থানান্তর হবার কারণে এমনটি ঘটেছে। ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভিত্তি আরো শক্তিশালী হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। এটা হয়েছে বাংলদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারির ফলে।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করণের প্রয়াসে আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম রীতি-পদ্ধতির অনুসরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক মূলধন পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত ব্যাসেল-২ নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলোকে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধনের সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ব্যাংকগুলো এর চেয়ে বেশি (১১.৩১ শতাংশ) মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া আগামী বছর (২০১৩) থেকে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করার জন্যেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকিং খাত আরো শক্তিশালী হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে ব্যাসেল-১ অনুযায়ী ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন সংরক্ষণ করতে হতো। এ নীতিমালা মোতাবেক ২০০৮ সাল শেষে ব্যাংকগুলো কর্তৃক সংরক্ষিত মোট মূলধনের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে, ঝুঁকি সংবেদনশীল ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলোর রক্ষিতব্য মূলধনের পরিমাণ যেমন বেড়েছে তেমনিভাবে গত ৪ বছরের ব্যবধানে (জুন ২০১২) ব্যাংকগুলোর সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।