শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই মিয়ানমারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে । দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি জন্য সীমান্তে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। নিকটতম প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে উভয়দেশ শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করে লাভবান হতে পারে।
তিনি দু‘দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চীনের কুংমিং থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে মায়ানমারের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে শিল্প মনন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত মি. ইউ মিও মিন্ট থান সঙ্গে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে শিল্পখাতে সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য মিয়ানমার হচ্ছে বিনিয়োগের একটি উৎকৃষ্ট স্থান। একই সাথে মিয়ানমারের উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তিনি বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে মিয়ানমারের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন। মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, সিরামিক, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে পারে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক অনুশাসনের প্রসার জরুরি। তিনি মিয়ানমার সরকারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতন্ত্রায়ণ প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন। কৌশলগত ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করে লাভবান হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার বহুমাত্রিক যোগাযোগের নীতিকে সমর্থন করে। তিনি দু’দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ দেন। আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিমস্টেক সভা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।