সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উদ্যোগে ৭ বীরশ্রেষ্ঠের নিকট আত্মীয়সহ ৬০ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে নকিয়া ৩০২ মডেলের একটি করে মোবাইল সেট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মে. জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ওয়াহিদ উজ জামান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল আবদুল ওয়াদুদ।
সংবর্ধিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে তাদের নিকট আত্মীয়রা উপহার গ্রহণ করেন। সংবর্ধিত বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, মেজর জেনারেল(অব.) শফিউল্লাহ, লে. কর্নেল(অব.) আবদুল গাফফার, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, বদরুল আলম, ক্যাপ্টেন নুরুল আমিন ও হাবিবুর রহমান। বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্তরা হলেন শাহজাহান সিদ্দিকী, হামিদুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, দেলোয়ার হোসেন, মহিবুল্লাহ, ফরিদ উদ্দিন, মনসুর আলী, বুলু মিয়া, এমএ মান্নান, খিজির আলী ও শওকত আলী, বীরপ্রতীক উপাধিপ্রাপ্তরা হলেন সাইদ আহমেদ, মাসুদুর রহমান, সাজ্জাদ আলী, ওয়াকার হাসান, তারামন বিবি, আলী নেওয়াজ, আজিজুল হক, তাজুল ইসলাম, একরাম আহমেদ খান, আবদুস সোবহান, সায়েদুল আলম, খোরশেদ আলম, নুরুল হক, রতন আলী, শহীদুল্লাহ, সাইদুর রহমান, সোলায়মান, মফিজুর রহমান, জয়নাল আবেদীন খান, রফিকুল ইসলাম, আজাদ আলী, গোলাম আজাদ, খোরশেদ আলম তালুকদার ও বীর প্রতিক আবদুল হাকিমকে সংবর্ধিত করা হয়।
সংবর্ধনা শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ অনির্বাণের ডিভিডি এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী সশস্ত্র বাহিনী দিবসের জার্নাল কপি প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করেন।