মার্চ-এপ্রিলে দেশের পুঁজিবাজার হবে গ্রেট পুঁজিবাজার। এ সময়ে দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানেও উন্নীত হবে। আজ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্যাপিট্যাল মার্কেট অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট অন বাংলাদেশ ইকোনোমী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠানটি শেষ হয় দুপুর আড়াইটায়।
রকিবুর রহমান বলেন, দাম বাড়লে শেয়ার কেনে আর কমলে শেয়ার বিক্রি করে -বিনিয়োগকারীদের এ উল্টো অবস্থান বদলাতে হবে। বিনিয়োগকারীরা যদি শিক্ষিত অর্থাৎ শেয়ারব্যবসা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন তবে তা দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
তিনি আরো বলেন, সামর্থ্যরে বাইরে ঋণ নেয়া ঠিক না। এতে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। যেসব বিনিয়োগকারী অতিরিক্ত ঋণ নেন তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি এ ধরণের বিনিয়োগকারীদের কঠোর সমালোচনা করেন।
ডিএসই প্রেসিডেন্ট বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির অনৈতিক তৎপরতা কমাতে ডিএসই সক্রিয় রয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদনে মনগড়া তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকানো যাবে না।
রকিবুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান সম্পর্কে বলেন, দেশে যত বড় বড় শিল্প কারখানা রয়েছে সেগুলোতে পুঁজিবাজারের সরাসরি অবদান রয়েছে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্যও পুঁজিবাজার উত্তম স্থান।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণে ঋণ নেয়ার প্রবনতা কমিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হলে উভয় ক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরী হবে। সরকার যদি বেশি বেশি ঋণ নেয় তবে এক সময় দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কমলে এবং যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসানো হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। দেশে গরীব লোক কমে যাবে। তবে এজন্য মনিটরিং এবং সার্ভিল্যান্স জোরদার করতে হবে।
অতিথির বক্তব্যে ডিএসইর পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, একটা দেশ কতটা উন্নত তা পুঁজিবাজার পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায়। কারণ, পুঁজিবাজার একটি দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক বড় অবদান রাখে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র পরিচালক মিজানুর রহমান।