পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও স্থানীয় জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার রাতে মৌলভীবাজারে পুলিশ প্রায় ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে এবং ১৫ জনকে আটক করেছে।
এর আগে মেলায় পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগে সোমবার উত্তেজিত জনতা রাত আটটা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল রোড (এমপির বাড়ির সম্মুখে) প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান নং (মৌলভীবাজার-ম ১১-০০২৪) ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।
রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল না। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে ঘটনাস্থলের দুইপাশে কয়েকশ’ যানবাহন আটকা পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার জেলা শহরের শাহ মোস্তফা রোডে হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা বোগদাদী (র.) এর ৬৭১তম ওরস উপলক্ষে মেলা চলছিল।
সোমবার রাত ৮টার দিকে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কুমার কানু ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মেলা থেকে দুই যুবককে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ওই দুই কর্মকর্তার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে। এ সময় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনও আহত হয়েছেন বলে সূত্র জানায়।
এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী দুই পুলিশ কর্মকর্তা সজল কুমার কানু ও আনোয়ার হোসেনের চাঁদাবাজির বিচার চেয়ে রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বাঁশ দিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে।
রাত সোয়া ১০ টার দিকে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আহাদুজ্জামান, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. সালেহর নেতৃত্বে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান ও নুরুল হুদার উপস্থিতিতে পুলিশ অবরোধকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় অবরোধকারীরা পালিয়ে যায় এবং পুলিশ রাস্তায় অবস্থান নেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জসহ, ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১৫ জনকে আটক করে।
মৌলভীবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার মো: আহাদুজ্জামান গুলি ও আটকের বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে নিশ্চিত করেছেন।