রোহিঙ্গাদের নিয়ে সুচির বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সুচির বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের

রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী রাজনীতিবিদ অং সান সু চি’র বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার মনে করে, তার বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ সমস্যা নিরসনে মিয়ানমার সরকারের নেয়া পদক্ষেপের বিরোধী ও অনুসৃত নীতির পরিপন্থী।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সু চি ভারত সফরকালে এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সীমান্তের দুই পাশেই অবস্থান করছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা। তাই জাতিগত দাঙ্গার পর সমঝোতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের সমর্থন দেয়া সম্ভব নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৯১-৯২ সালে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেয়। পরে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলে জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশনকে (ইউএনএইচসিআর) নিয়ে বাংলাদেশ একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়। অবশিষ্টরা বাংলাদেশের দুই শিবিরে আশ্রয় নেয়। এদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার সাপেক্ষে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করছে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শরণার্থীর বাইরে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক লোক অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এ পর্যন্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা চার থেকে পাঁচ লাখ বলে প্রকাশিত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিয়ানমার সফরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় এই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তুলেছে। মিয়ানমারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়ার পর এদের ফিরিয়ে নেবে।

তাই বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে আশা করে কোন রকম তথ্য ছাড়া সংশ্লিষ্ট সবাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ প্রতিবেশি সুলভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এ সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ