টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা

টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা

জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের আইপিওতে যারা শেয়ার বরাদ্দ পাননি তাদের অধিকাংশই রিফান্ড নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রায় এক তৃতীয়াংশ একাউন্টে টাকা রিফান্ড করেনি বলে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন। প্রতিদিন অসংখ্য বিনিয়োগকারী শেয়ারনিউজ২৪ডটকমে ফোন করে রিফান্ড না পাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ অক্টোবর। সে হিসাবে এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো শেয়ার বরাদ্দ না পাওয়া বিনিয়োগকারীরা টাকা ফেরত পাননি। মূলধন আটকে থাকায় বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

বিনিয়োগকারী মফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিও নং-১২০৩০৪০০৪১৮০৯৪৯৬, ফখরুল ইসলাম ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের আইপিওতে আবেদন করে লটারি না পাওয়া সত্ত্বেও এখনো টাকা ফেরত পাননি। তিনি জানান, ডাচবাংলা ব্যাংকের অনলাইনে অনেকে রিফান্ড পেয়েছে আবার অনেকে পায়নি। তাই এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।

এছাড়া খুলনার বিনিয়োগকারী আশিকুর রহমান জানান, টাকা ফেরত না দেয়ার কারণ জানার জন্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, প্রদত্ত নম্বরগুলো দিনের বেলায় বন্ধ থাকে আর রাত্রে খোলা থাকে। রাতে কেউ ফোন ধরে না; ধরলেও কথা বলার মতো কেউ নেই বলে ওপাশ থেকে ফোন রেখে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে কোম্পানির শেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা সম্ভু পাল বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঈদের আগে টাকা ফেরত পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ব্যাংকের অনলাইন সমস্যা ও বিনিয়োগকারীদের ঠিকানা বা নামে কোনো ভুলের কারণে এমন হতে পারে। এছাড়া কোম্পানিটি এদিক দিয়ে শতভাগ সঠিক বলে জানান তিনি। আর ফোনের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান তিনি।

বিনিয়োগকারীদের মতে, এভাবে যদি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের আইপিও’র টাকা ফেরত দিতে দেরি করে তাহলে এর উপরে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এক সময় দেখা যাবে বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে আবেদনের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

এদিকে এর আগে ২০১০ সালে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হতে চাইলে এসইসি তা বাতিল করে দেয়। কারণ হিসাবে জানা যায়, কোম্পানিটি আর্থিক বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। যা ওই সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

অর্থ বাণিজ্য