রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা নসিহত করেন : হানিফ

রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা নসিহত করেন : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, রাজনীতি একটু উত্তপ্ত হয়ে উঠলেই দেশের রাজনীতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা অনেক সময় অযাচিতভাবে অনেক কথা বলেন। তারা উপদেশ দেন, নসিহত করেন। সম্প্রতি তারা জামায়াতের সঙ্গে সংলাপে বসার কথা বলেছেন।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলা ও আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, যিনি সংলাপের কথা বলছেন তার উদ্দেশে বলছি জামায়াতে ইসলামী একটি যুদ্ধাপরাধী দল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতি কলঙ্কমুক্ত করার দল। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংলাপ হতে পারে না।

তিনি বলেন, যারা সংলাপের কথা বলেন তাদের উদ্দেশে বলছি আগে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। তারপর কথা বলুন।

জামায়াত-বিএনপি একই প্রভুর দুই অনুসারী উল্লেখ করে হানিফ বলেন, জামায়াত পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। আর বিএনপি পাকিস্তানের এজেন্ট। তারা একে অপরের পরিপূরক। বিএনপি-জামায়াত একই জায়গা থেকে পরিচালিত। বিএনপি কখনো জামায়াত থেকে বিছিন্ন হতে পারে না।

বিএনপি-জামায়াত উভয়কেই একে অপরের দায়ভার নিতে হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি উসকানি দিয়ে এবং জামায়াতের সঙ্গে তাদের দলের লোক দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয় করতে চেয়েছে। অতীতেও তারা যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।

এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যারা বাধা দিতে চায় তাদেরও বিচার করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি ও মওদুদ সাহেবরা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়। এখন সেই মহার্ঘ্য ভাতা বন্ধ করে দিয়ে চাপ দেয়ায় মওদুদ সাহেব বলছেন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অটুট থাকবে।

বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে একটা মিনি পাকিস্তান বানাতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে পাকিস্তানি ভূত চেপে আছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে দেশকে পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানানোর।

কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খান আলতাপ হোসেন বুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও এমএ করিম।

রাজনীতি