জয়ের ধারা ধরে রেখেছে রিয়াল-বার্সা

জয়ের ধারা ধরে রেখেছে রিয়াল-বার্সা

স্প্যানিশ লা লিগায় টানা জয়ের রেকর্ডটাকে বাড়িয়ে চলেছে বার্সেলোনা। সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদও। শনিবার নিজ নিজ প্রতিপক্ষকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট।

ন্যু ক্যাম্পে শনিবার লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জারাগোজাকে হারিয়েছে বার্সা। অন্যদিকে একই দিনে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে করিম বেনজেমার জোড়া গোলে ৫-১ ব্যবধানে অ্যাতলেটিক বিলবাওকে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই অতিথিদের ওপর চড়াও হয় বার্সেলোনা। সেপ্টেম্বরের পর এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো জেরার্ড পিক ও কার্লোস পুয়োলকে একসঙ্গে মাঠে পেয়ে দারুণভাবে উজ্জ্বীবিত হয়ে ওঠে টিটো ভিলানোভার দল।

খেলা শুরুর ১৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে প্রথম বল পাঠান লিওনেল মেসি। কিন্তু ২৪ মিনিটে হঠাৎ করেই বার্সার রক্ষণভাগ ফাঁকা পেয়ে খেলায় সমতা ফেরান জারাগোজার মিডফিল্ডার মন্টানেস।

কিন্তু এর মাত্র ৪ মিনিট পরেই আবারও এগিয়ে যায় বার্সা। লিওনেল মেসি দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল দেন অখ্যাত অ্যালেঙ সংকে। ১২ গজ দূর থেকে নেওয়া সংয়ের শট প্রতিহত করতে পারেন নি জারাগোজার গোলরক্ষক রবার্তো।

প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বার্সার জয়টাকে ৬০ মিনিটে নিশ্চিত করেন মেসি। ডান প্রান্ত দিয়ে বল টেনে নিয়ে সতীর্থ ডিফেন্ডার মন্টোয়াকে বল দেন মেসি। প্রতিপক্ষের বঙের কাছে পৌঁছে মেসিকে বল ফেরত দেন মন্টোয়া। খুব সহজেই জারাগোজার জালে বল পাঠান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে এই মৌসুমে বার্সার হয়ে ৩৩ ম্যাচে ঠিক ৫০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান মেসি। একই সঙ্গে লা লিগার এবারের মৌসুমে মেসির ঝুঁলিতে যোগ হয় ১৭ গোল।

লিগে ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষস্থানে বার্সা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল। আর এক ম্যাচ কম খেলে ফাইপেন হয়ে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৮।

বার্সার রেকর্ডের দিনে বড় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবুতে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যাটলেটিক বিলবাওকে। তবে গোলউৎসবের দিনে মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভাগ্যে জোটেনি একটি গোলও।

খেলার ১২ মিনিটে করিম বেনজেমার শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার জো আর্তেনেঙের গায়ে লেগে ঢুকে যায় অ্যাটলেটিকের গোলে। ৩০ মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেন সার্জিও র‌্যামোস। এর ২ মিনিট পরেই আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান বেনজেমা।

তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে সাফল্য আসে অ্যাটলেটিকেরও। ৪২ মিনিটে অ্যাটলেটিকের স্ট্রাইকার ইবে গোমেজ একটি গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করেন রিয়ালের মেসুত ওজিল ও সামি খোদেইরা।

খেলাধূলা