দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি থেকে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতির বিভেদ দিনদিন বাড়ছেই। সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাশাপাশি দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার সামগ্রিক জাতীয় আয় উত্তর কোরিয়ার চেয়ে ৪০ গুন বেশি।
মঙ্গলবার কোরিয়ায় রাষ্টীয় পরিসংখ্যান সংস্থা থেকে বলা হয়, ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ি উত্তর কোরিয়ার সামগ্রিক জাতীয় আয় ২৬ বিলিয়ন ডলার। এই আয় দক্ষিণ কোরিয়ার এক দশমিক এক ট্রিলিয়ন সম্পদের সমান।
স্থানীয় এবং আন্তর্জাাতিক সংস্থা থেকে পাওয়া বিভিন্ন বার্ষিক রির্পোট থেকে বলা হয় ঐ একই বছর উত্তর কোরিয়ার মাথাপিছু বার্ষিক আয় ছিল এক হাজার ৭৪ ডলার। অন্যদিকে যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার আয় ছিল এর প্রায় বিশ গুন। পরিমানে বিশ হাজার সাত’শ ৫৯ ডলার।
২০০৯ সালে প্রত্যেক দক্ষিণ কোরিয়ানের আয় ছিল প্রত্যেক উত্তর কোরিয়ানের চেয়ে ১৮ গুন বেশি।
সামগ্রিক আয় হিসেব করা হয় দেশের নিজস্ব উৎপাদন, আয় এবং পরিশোধের উপর হিসেব করে।
রির্পোটটিতে আরো বলা হয় ২০১০ সালে যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ সেখানে উত্তর কোরিয়ার ঘটেছে মাত্র ০.৫ শতাংশ। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার মানুষের আয়ু ও কমে গেছে বলে রির্পোটটিতে বলা হয়।
অন্যদিকে খনিজ সম্পদে ভরপুর উত্তর কোরিয়ার লোহ উৎপাদন করে ৫০ মিলিয়ন টন। দক্ষিণ কোরিয়ার উৎপাদন ৫ লক্ষ ১০ হাজার টন।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যা, অব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সবকিছু জন্য দায়ি হচ্ছে দেশটির নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
ইউএন সংস্থা ধারনা করছে উত্তর কোরিয়ার এক-চর্তুথাংশ মানুষের জরুরি সেবার প্রয়োজন যেখানে ১৯৯০ সালে ঘূর্নিঝড়ে হাজার লোক মারা গিয়েছিল।