চলতি মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৪টি নাট্যোৎসবে প্রাঙ্গণেমোর-এর নতুন প্রযোজনা ‘আওরঙ্গজেব’ এর ৪টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ ‘নাট্যোলোক’ আয়োজিত নাট্যোৎসবে, ১৯ নভেম্বর বগুড়া ‘সংশপ্তক’ নাট্যদল আয়োজিত নাট্যোৎসবে এবং বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রহমান রক্কু’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ৩০ নভেম্বর ‘আওরঙ্গজেব’ নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। এছাড়া থিয়েটার আর্ট ইউনিট আয়োজিত চলমান ‘রঙ্গ হর্ষে বিংশ বর্ষে’ নাট্যোৎসবে ২২ নভেম্বর নাটকটির আরেকটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
নাটকটি রচনা করেছেন বাংলা ভাষার একজন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায় এবং নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন রামিজ রাজু, সেট ও আলোক পরিকল্পনা ফয়েজ জহির, কস্টিউম পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু, ইউসুফ পলাশ, সরোয়ার আলম সৈকত, মাইনুল তাওহীদ, শুভেচ্ছা, রিগ্যান রত্ন, সাগর, বিপ্লবসহ আরো ১৬ জন নাট্যকর্মী।
ভারতবর্ষে মুঘল রিয়াস্তে ছিলো তৈমুরলঙ্গ আর চেঙ্গিস খাঁর রক্ত, সেই তৈমুর বংশের প্রথা ছিলো মসনদে প্রত্যেক শাহাজাদা-র সমান অধিকার, যার তলোয়ার যত দীর্ঘ, যত ধাঁরালো, যত সফল ততই মসনদে তার অধিকার। এটাই চলেছে মুঘল রিয়াসতে যুগের পর যুগ। সম্রাট হুমায়ূন তার ভাই কামরান, আশকরী, হিন্দালের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখ্ত দখল করেছিলো। শাহেনশাহ আকবর পর্যন্ত মির্জা মুহম্মদ হাকিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলো। বাদশা জাহাঙ্গীর নিজের আব্বাজানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলো। বাদশা শাহজাহান আপন ভাই খসরু শাহ্রিয়ারের রক্তপাত ঘটিয়ে মসনদ দখল করেছিলো। কিন্তু সেই শাহজাহানই শেষ বয়সে নিজ পুত্র আওরঙ্গজেব এর হাতে বন্দি জীবন কাটান। আওরঙ্গজেব একজন ধর্মপ্রাণ সুন্নি মুসলমান হয়েও নিজ পিতাকে বন্দি করে মসনদ দখল করেন এবং মসনদ এর অন্য দাবীদার আপন ভাই দারা, মুরাদ আর সুজাকে একে একে হত্যা করেন। মসনদ আর রাষ্ট্র ক্ষমতার লড়াই যুগে যুগে একই বৃত্তে ঘুরতে থাকে।
সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। ইতিমধ্যে নাটকটির ৪টি প্রদর্শনী হয়ে গেছে।