হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ‘নন ফান্ডেড’ ঋণে কারসাজির অভিযোগে আজ জনতা ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় থাকা এ ৭ কর্মকর্তা হলেন_ জনতা ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল ব্রাঞ্চের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিনুল ইসলাম পিনু, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদীন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রুহুল আমিন খান, ব্যবস্থাপক (এঙ্পোর্ট) আলাউদ্দিন আকন্দ, এঙ্পোর্ট শাখার ইনচার্জ আবদুল গফুর, এলিফ্যান্ট রোড শাখার সিনিয়র এঙ্িিকউটিভ অফিসার একে আজাদ ও শাহবাগ শাখার শোয়েব কবির। একই বিষয়ে আগামীকাল একই ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখার জিএম আবদুস সালাম আজাদ, ডিজিএম এসএম আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এজিএম মুসতাক আহমেদ খান, বৈদিশিক শাখার ডিজিএম শেখ হায়দার হোসেন ও এজিএম মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৮ নভেম্বর তাদের নামে নোটিস পাঠিয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্দসাতের ঘটনায় জড়িত হলমার্ক গ্রুপসহ ছয় প্রতিষ্ঠান ও ২৬ ব্যাংকের ৬১টি শাখার কর্মকর্তারা জড়িত থাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ফান্ডেড ঋণে কারসাজির ঘটনায় হলমার্কের মালিকপক্ষ ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, এমডি তানভীর মাহমুদ, জিএম তুষার আহমেদ ও সোনালী ব্যাংকের জিএম (সাময়িক বরখাস্ত) একেএম আজিজুর রহমানকে গ্রেফতারের পর কারাবন্দী রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নন ফান্ডেড ঋণে কারসাজির বিষয়ে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জনতা ব্যাংকের এই ১৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।