টানা পতনেও মনিটরিং দলের সক্রিয়তা নেই

টানা পতনেও মনিটরিং দলের সক্রিয়তা নেই

ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মনিটরিং টিমের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও গত কয়েকদিনের টানা দর পতনে উভয় পক্ষের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে কোনো শেয়ারের দর একটানা বৃদ্ধি পেলে তা তদন্ত করা হতো। কিন্তু গত কয়েকদিন একটানা বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর কমলেও এর কারণ অনুসন্ধানে ডিএসই এবং এসইসির পক্ষ থেকে কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন। আর এ কারণে বাজারে নতুন করে মন্দা দেখা দিয়েছে বলে বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন।

বিনিয়োগকারী সাতিল বলেন, ঊর্ধ্বমুখী বাজারে এসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মনিটরিং টিম বিভিন্ন হাউজ পরিদর্শন করে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। বাজার যখন নিম্নমুখী ছিল তখনো অনেক হাউজ পরিদর্শন করে এগ্রেসিভ সেল করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে একটানা বাজার নিম্নমুখী হলেও এসইসি কিংবা স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মনিটরিং টিমের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। যে কারণে বিনিয়োগকারীরাও নির্ভরতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে সাহস পাননি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঈদের পর ১৩ কার্যদিবসের লেনদেনে ১০দিন বাজার ছিল নিম্নমুখী। আর ঊর্ধ্বমুখী ৩ দিনের মধ্যে একদিন ছিল নামমাত্র। একটানা ১০ কার্যদিবস নিম্নমুখী প্রবনতা বিরাজ করলেও ডিএসই বা এসইসি থেকে দর পতন রোধে কিংবা দর পতনের কারণ তদন্ত করা হয়নি। মনিটরিং টিমের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। অথচ ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বিভিন্ন হাউজের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এবং কতিপয় ব্যক্তিকে সাবধান করা হয়েছিল।

বাজারের এ ক্রান্তিকালে মনিটরিং টিম কেন নিস্ক্রিয় তা বোধগম্য নয় বিনিয়োগকারীদের। তাদের মতে, মনিটরিং টিমের নিস্ক্রিয়তার কারণে কোনো চক্র হয়তো স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে। তাই কি কারণে বাজারে এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার আহবান বিনিয়োগকারীদের।

বিনিয়োগকারী শাহিন আলম বলেন, ঈদের পর এমন কোনো নেতিবাচক খবর বা ঘটনা ঘটেনি যার কারণে বাজারে নতুন করে দর পতন শুরু হবে। এর পিছনে কোনো চক্র কাজ করতে পারে বলে তার অভিমত। তবে মনিটরিং টিম যদি সক্রিয় থাকত তাহলে এর রহস্য উদঘাটন সম্ভব হতো বলে তিনি মনে করেন।  

এদিকে বাজারে নতুন করে দর পতন শুরু হওয়ায় ৪মাস পর গত ৮ নভেম্বর রাজপথে নামেন বিনিয়োগাকারীরা। তাদের দাবি, দর পতনের পিছনে কারো ইন্ধন রয়েছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতেই বিনিয়োগকারীরা রেগুলেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন বলে জানা গেছে।

অর্থ বাণিজ্য