আগে জামায়াত-শিবির দমন, পরে অন্য কথা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগে জামায়াত-শিবির দমন, পরে অন্য কথা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 ঢাকাসহ সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের হামলার পর তাদের সঙ্গে সরকারের কোনও সংলাপ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জামায়াতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এসব কথা জানান। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, যারা ডাকাত, মানুষ হত্যা করে, যারা দেশের আইনমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে দ্বিধাবোধ করে না তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। তারা তো অন্য কিছু বোঝে না। আগে তাদের দমন করতে হবে। পরে অন্য কথা।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীদের হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।

বিবৃতিতে তারা এ সহিংসতার ফলে যারা আহত ও ব্যক্তিগতভাবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। একই সাথে সংলাপই যে কোনো মতপার্থক্য দূর করার উত্তম পন্থা বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

পাসপোর্ট ও টাকাসহ ধরা পড়া লিবীয় নাগকিরদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিচারের একটি প্রক্রিয়া আছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। কয়েকজন লিবীয় নাগরিক ও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একজন মহিলাকে গ্রেফতার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তারা নিরাপরাধ বিবেচিত হলে মুক্তি পাবেন। দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তি পাবেন।

লিবীয় দূতাবাসের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কেউ অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত হলে সে অপরাধী কিংবা অপরাধী নয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আদালতের। কোন দূতাবাস বা কোন সংস্থার নয়।

বাংলাদেশ