বিআইডব্লিউটিএর ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিআইডব্লিউটিএর ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকৃত ড্রেজিং না করে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আট কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমীরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল ধানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৯।

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী) এসএম মাশুকুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী (সাবেক সহকারী প্রকৌশলী) সুলতান আহমেদ খান, সহকারী প্রকৌশলী এএসএম মাশরেকুল আরেফিন, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন, গণেশ চন্দ্র শীল, মো. আব্দুল মান্নান ও একে মোহাম্মদ আলী বকাউল, কারিগরি সহকারী মো. ইকবাল হোসেন এবং মেসার্স বঙ্গ ড্রেজার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  মো. আব্দুল লতিফ ও চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বিআইডব্লিউটিএর এই আট কর্মকর্তা ও বেসরকারি ড্রেজিং সংস্থার দুই শীর্ষ কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে ২০১০-১১ অর্থবছরে মংলার ঘোষিয়াখালী খাল ও কুমারখালী নদীর ঘোষিয়াখালী-বেতবুনিয়া নৌরুট এবং মাওয়া-চরজানাজাত ফেরিঘাটের ১২টি এলাকায় মোট চার লাখ ৭০ হাজার ২৮৭ দশমিক ৪৩ ঘনমিটার মাটি খনন করে। কিন্তু অভিযুক্তরা আট লাখ ৪৭ হাজার ১৮৮ ঘনমিটার মাটি খননের হিসাব জমা দেয়।

প্রণব কুমার জানান,  তিন লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ ঘনমিটার অতিরিক্ত মাটি খননের ভুয়া হিসাব দেখিয়ে অভিযুক্তরা সরকারের তহবিল থেকে মোট তিন কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

তদন্তে এই অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ