বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সংসদে যাওয়ার কথা ভাবছে বিএনপি।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নির্দলীয় সরকার পুনর্বহালই সংকট উত্তরণের পথ’ শিরোনামের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সংসদে ফেরার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আলোচনা চলছে। কারণ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৮ নভেম্বর নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার দুপুরে ‘সাংস্কৃতিক গণতান্ত্রিক জোট’ নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় মওদুদ আহমেদ বলেন, এবার নরম গরম বুঝি না। কর্মসূচি শুরু হলে আর থামবে না। ধীরে ধীরে কর্মসূচিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে এখন একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইচ্ছে করে তারা এমন কতগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে করে দেশে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ বাড়ে।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার এক এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার সবচেয়ে বড় ভিকটিম হবে সরকার নিজেই। রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেয়াই তাদের জন্য অনেক ভালো হবে এমন দাবি করে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, তা না হলে এক সময় অনুশোচনা করতে হবে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না।
মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে আমরা সুনিশ্চিত করতে চাই উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার দলীয়করণে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত তাদের দলের অনুগত মানুষ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়নি। আজকে তাদের অধীনে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে এটা বাংলাদেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না। সেজন্যই আমাদের এ আন্দোলন।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাসাসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনির খান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিক সিকদার বক্তৃতা করেন।