‘বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতার পরিবর্তন চায়’ বলে মন্তব্য করে আর একবার দেশ পরিচালনার সুযোগ চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
‘চলো চলো তিস্তা চলো, প্রতিবাদের ঝড় তোলো’ শ্লোগানে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া তিস্তা অভিমুখী লংমার্চের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে স্থানীয় জাপা আয়োজিত পথসভায় দেওয়া বক্তৃতায় জনগণের কাছে তিনি এ সুযোগ চান।
এরশাদ বলেন, ‘এ সরকার কৃষকের পানি সমস্যার সমধান করতে পারেনি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যবসা বানিজ্যের অবস্থা খারাপ। তাই এই সরকার দেশ পরিচালনায় সফল হতে পারেনি। তাই দেশের মানুষ ক্ষমতার পরিবর্তন চায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ পানির ন্যয্য হিস্যা চায়, যা ১৯৯০ সালে তার সরকার তিস্তা চুক্তির মাধ্যমে করতে চেয়েছিল।’
তার সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর দেশ দূর্ণীতিতে পাঁচ পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ণ হয়েছে বলে স্মরণ করিয় দিয়ে আরেকবার দেশ পরিচালনার সুযোগ চান এরশাদ।
তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করা হবে।’
পথসভায় বক্তারা বলেন, ‘এরশাদ সরকারই দেশের ২২টি জেলাকে একসাথে ৬৪টি জেলায় উন্নীত করেছেন। এছাড়া দেশের ৪৬০টি উপজেলা তারই অবদান। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন।’
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও পথসভা সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অ্যাডভোটেক শাজাহান আলী, জেলার জাপা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ওমরসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় শেরপুর ত্যাগ করেন এরশাদ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে এরশাদের লংমার্চ বহর যাত্রা শুরু করে। প্রথম দিন শেষে রংপুরে যাত্রাবিরতি করবে লংমার্চ বহর। আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় রংপুর থেকে তিস্তা অভিমুখে দ্বিতীয় ও শেষ দিনের লংমার্চ শুরু হবে।