লন্ডনে ভয়াবহ বায়ু দূষনের কারণে এ বছর অলিম্পিক ক্রিয়াবিদরা তাদের পারফমেন্সে সমস্যায় পরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দেশটির শ্বাসতন্ত্র বিষয়ক বিজ্ঞানীরা। একই সঙ্গে ক্রিয়াবিদরা অসুস্থ হয়ে পরতে পারেন বলেও মনে করছেন তারা।
চলতি বছরের জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া এই খেলার সময় ক্রিয়াবিদরা যারা সাধারন মানুষের চেয়ে বেশি শ্বাসগ্রহন করেন তারা ফুসফুসের যন্ত্রনা, বুকে ব্যথা এবং ফুসফুসের ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ইত্যাদি নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অলিম্পিক শুরুর পূর্বে এই ধরনের আবহাওয়া লন্ডনের জন্য একটি বড় বির্পযয় বলে মনে করছেন অনেকেই।
ইউরোপিয় দেশগুলোর মধ্যে লন্ডনের বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের (NO2) পরিমান সবচেয়ে বেশি। এজন্য তাদেরকে কয়েকবার সর্তক করা হলেও তেমন কোনো কাজ হয়নি। ওজন গ্যাসের কারণেও রাজধানীর বাতাস অনেকটা দূষিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রীষ্মকালের জন্য এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাপমাত্রার বির্পযয়, মেঘলা দিন এবং গরম আবহাওয়া এই সকল কারণে আবহাওয়া বির্পযয় ঘটবে এবং তা ক্রিয়াবিদদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে ও তাদের ক্রিড়ানৈপুণ্যে ব্যাঘাত ঘটাবে।
ব্রিটিশ ফুসফুস অ্যসোসিয়েশনের প্রফেসর স্যার ম্যালকম গ্রীন বলেন, এটি কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, সবসময়ই হয়ে থাকে।
লন্ডনের কিংস কলেজের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রফেসর ফ্রাঙ্ক কেলি বলেন, যদি আমরা দুর্ভাগা হই তাহলে আমাদের বাতাসের মান নিয়ে আমাদের খারাপ অবস্থায় পড়তে হবে। ক্রিড়াবিদ বিশেষ করে যারা ম্যারাথন এবং সাইকেলে অংশগ্রহন করেন তাদের জন্য সবচেয়ে কষ্ট হবে।
আশা করা হচ্ছে, এই কারনে কিছু সংখ্যক ক্রিড়াবিদ অংশগ্রহন করবেন না। এতে তারা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে পারবেন না বলে ক্রিড়াবিদরা মনে করছেন।
রাজধানীর বায়ু দূষন রোধে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মি: জনসন দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। এর পর গত বছরের মে মাসে নতুন করে কিছু জিনিস আবার তৈরি করা হয়েছে। মোটরচালিত যানবাহন নিষিদ্ধ করা এর মধ্যে একটি সল্প মেয়াদি উদ্যোগ।