দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের হামলার সঙ্গে বিএনপির কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক চলাকালে বেরিয়ে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, “জামায়াত যে সময় হামলা করেছে সে সময় বিএনপি বা ১৮ দলের কোন কর্মসূচি ছিলো না। তারা তাদের মতো করে কর্মসূচি দিচ্ছে এবং পালন করছে। এটা তাদের ব্যাপার। এতে বিএনপি বা ১৮ দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এর দায়িত্ব আমরা নেবো কেন?”
তিনি বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে সরকারের সংঘর্ষ চলছে। এটা জামায়াত ও সরকারের ব্যাপার।”
তবে এ সময় “সরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতেই জামায়াতের ওপর আক্রমণ করছে” বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “সরকার বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য শুধু জামায়াত শিবিরই নয়, নিরীহ লোকদের ওপরও নির্যাতন চালাচ্ছে।”
যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবির জানান ফখরুল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যহত করতে জামায়াত হামলা করছে বলে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “জামায়াত একটি নিবন্ধিত দল।”
জামায়াতের হামলার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, “২৮ নভেম্বরের জনসভার উদ্দেশ্য হলো- নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা আশা করি সরকার নমনীয় হবে। জনগণের দাবি মেনে নেবে।”
এছাড়া বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকার বিরোধী আন্দোলনের কলাকৌশল, খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক ভারত ও চীন সফর ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হয়।
রাত সাড়ে আটটায় শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত সোয়া দশটার দিকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লিবারের ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, কল্যাণ পার্টি চেযারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহীম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু, খেলাফত মসলিশ সভাপতি মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মানিক প্রমুখ।