সরকারের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে প্রধান বিরোধীদল কেন বিরোধিতা করছে, সে সম্পর্কে সমালোচনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি স্যামসন এইচ চৌধুরী স্মরণে এই শোকসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী পরিষদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন থেকে বের হয়ে স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোনো রাষ্ট্রপতি আজ পর্যন্ত এ ধরণের উদ্যোগ নেননি। আর সফল এ উদ্যোগের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছিল না বলেই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম। সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তত্ত্বাবধায়কবিহীন নির্বাচন জাতির কাছে উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘অতীতে আজিজ-সাদেক মার্কা নির্বাচন দেখেছি, যা ছিল প্রহসনমূলক নির্বাচন কমিশন। তাই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল এবং হয়েছে।’
বর্তমান সরকার সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে দাবি করে কামরুল ইসলাম বিরোধীদলকে সংসদ বর্জনের রাজনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগান তথ্যপ্রযুক্তিতে আমুল পরিবর্তন এনেছে। স্কুল-কলেজে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ, ইন্টারনেটের মাধমে ২ ঘণ্টার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফল এবং ইভিএম পদ্ধতির সুফল জনগণ পাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে ৮ বছর পিছিয়ে গেছি। বিগত ৮ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ তথ্যপ্রযুক্তির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে যেতো।’
স্যামসন এইচ চৌধুরী সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বড় মন-মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তাই ক্ষীণ মন-মানসিকতা পরিহার করে দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল, জাতীয় জনতা পার্টি’র সভাপতি শেখ আসাদ, মুক্তিযোদ্ধা মুকসেদ আলী, আব্দুল হাই কানু, কৃষক লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক খোন্দকার তারেক রায়হান, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা আসম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।