তারেক-কোকোর ঋণখেলাপ মামলার তদ্বির ৭ জানুয়ারি

তারেক-কোকোর ঋণখেলাপ মামলার তদ্বির ৭ জানুয়ারি

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো এবং ভাই সদ্য প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ২ ছেলে, ১ মেয়ে ও স্ত্রীসহ ১০ জনের নামে দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপ মামলার তদ্বির গ্রহণের জন্য আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় এবং তার নামে পাঠানো সমন বিনা জারিতে ফেরত আসায় এ তদ্বির গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম।

বুধবার অন্য বিবাদীদের পক্ষে আদালতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

গত ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

মামলার বিবাদীরা হলেন, ডান্ডি-ডায়িং, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, ছোট ভাই সদ্য প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ২ ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহিনা বেগম, মোজাফফর আহমেদ ও গাজী গালিব আব্দুস সাত্তার।
বিবাদীরা সবাই ডান্ডি-ডাইংয়ের পরিচালক।

৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ডান্ডি-ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়।

কিন্তু বিবাদীরা ঋণ শোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি।

রাজনীতি