বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র উত্তাপ ছড়িয়ে দিচ্ছে ফ্রেঞ্চাইজি দলগুলো। দুরন্ত রাজশাহীর পর ঢাকা গ্লাডিয়েটরসও পরিচিতি পর্ব সেরে ফেলেছে।
ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঢাকা গ্লাডিয়েটরস তাদের লোগো উন্মোচন তো করেছেই পাশাপাশি কোচিং স্টাফদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেয়।
ঢাকার গ্লাডিয়েটরসের মালিক ইউরোপা গ্রুপ আটঘাট বেঁধেই দল গোছাতে নেমে পড়েছে। প্রধান কোচ করেছে জাতীয় দলের সাবেক ফিল্ডিং কোচ ইয়েন পন্টকে। ইংল্যান্ড থেকে উড়িয়ে এনে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়েছিলো তাকে। পরিচিতি পর্বের মতো ১৯ জানুয়ারির নিলামেও থাকবেন কোচ। সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের খুবই পরিচিত মুখ মোহাম্মদ রফিক। আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে আগেই নির্বাচন করে দেওয়া হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল থেকে। এখানে গ্লাডিয়েটরসের কোন ওজর আপত্তি ধোপে টিকবে না।
গ্লাডিয়েটরসের উপদেষ্টা করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান কণিষ্ঠতম নির্বাচক হাবিবুল বাশারকে। দল গোছাতে মূল দায়িত্ব তিনিই পালন করছেন। এরই মধ্যে ৩০ জন ক্রিকেটারকে পছন্দ করে রেখেছেন বাশার। নিলামে তাদের মধ্য থেকেই ১৮ জনকে নেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছেন,‘আমারা অনেকগুলো বিকল্প ক্রিকেটারকে বেছে রেখেছি। নিলামে তাদের অনেককেই হয়তো পাওয়া যাবে না। তখন বিকল্প তালিকা থেকে সেরা খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে ভালো দল বানাতে চেষ্টা করবো। সবই ১৯ তারিখের নিলামের ওপর নির্ভর করছে।’
সহকারী কোচ মোহাম্মদ রফিক ঢাকারই ছেলে। তাই ঢাকা ভালো খেললে তারও ভালো লাগবে, ‘এতদিন ক্রিকেট খেলেছি। এখন কোচ হিসেবে থাকবো। আমি ঢাকার ছেলে। চাই ঢাকা ভালো করুক।’
আইকন আশরাফুল মনে করেন, বিপিএল দেশের ক্রিকেটারদের জন্য আর্শিবাদ হয়েই আসবে,‘আইপিএল এবং বিপিএল একই রকম হবে। বিপিএলে খেললে সব ক্রিকেটারের উপকার হবে। দেশি বিদেশের বড় বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাজঘরে থেকে উপদেশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। যত বেশি বিদেশিদের সঙ্গে খেলবে ততই লাভ হবে।’
জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার শফিকুর রহমান হীরাও আছেন ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের সঙ্গে, ‘দীর্ঘদিন জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে চেষ্টা করবো দলের মধ্যে একটা সমন্বয় করতে।’
আত্মপ্রকাশের দিনে ঢাকা পরিচায় করিয়ে দেয় তাদের ব্রান্ড এম্বাসেডর আফসান আরা বিন্দুকে। এই অভিনেত্রী ও মডেল মনে করেন, ‘বিপিএল এর মাধ্যমে বিনোদন বাণিজ্য হবে। আমরা সেটা করতে চাই।’
সব কিছু ঠিক থাকলেও ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের থিম সং নিয়ে আপত্তি আছে অনেকের। গানটা ঢাকার না হয়ে অন্য কোন দলের হলেই বরং ভালো হতো। ‘চলরে ঢাকা, ময়দান ফাঁকা, মেরে দেই ছক্কা’।