বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে-জাইকা

বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে-জাইকা

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বাংলাদেশের প্রধান তাকাও টোডা বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যোগাযোগ, শিল্পসহ প্রায় সকল খাতেই জাপান সরকার ও জাপানি এজেন্সি সহায়তা দিয়ে আসছে। আগামীতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাইকা’র যৌথ উদ্যোগে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগাম অব ব্যাংকস এনবিএফআইএস’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও নির্বাহী পরিচালক মো. কাই-খসরু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সুকোমল সিংহ চৌধুরী।

জাইকার প্রধান তাকাও টোডা আরো বলেন, ৫০০ মিলিয়ন সহায়তার এক বিলিয়ন টাকা ইতিমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আরেক বিলিয়ন ছাড় করা হবে। তিনি বলেন, জাপানের এ সহযোগিতা নিচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তারা কতটুকু উপকৃত হচ্ছে-তার উপর নির্ভর করছে এ সহায়তার সফলতা। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের সঙ্গে সকলের সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে মনে করেন জাইকা প্রধান।

সুকোমল সিনহা চৌধুরী বলেন, জাইকার সঙ্গে চুক্তি করার পর ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক পুরো উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে। সন্তোষজনক পরিমান টাকা ছাড় করাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করায় ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে বিপুল ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ব্যাংকগুলোও প্রয়োজনীয় ছাড় দিচ্ছে।

তিনি জানান, এসএমই খাতে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সরবারহে যে তহবিল স্বল্পতা রয়েছে তা দূর করার জন্য সরকার সহজ শর্তে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী উৎপাদনমুখী তহবিল সরবারহ করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এ প্রকল্পের আওতায় এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ তহবিলের চাহিদা পূরণের জন্য এ উদ্যোগ।

প্রসঙ্গত, জাইকা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে ৪ শ‘ ৭ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেয়ার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে। এ প্রকল্পের মেয়াদ হবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত।

অর্থ বাণিজ্য