শচীন টেন্ডুলকারকে খুব বেশি সমীহ না দেখাতে সতীর্থদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইংল্যান্ড পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। ইংলিশ পেসারের দাবি, এতে করে প্রতিন্দ্বন্দিতার স্পৃহা কমে যায়।
অ্যান্ডারসন বলেন,‘তিনি (টেন্ডুলকার) অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি সেরা না হতেন তাহলে ২০ বছর ধরে খেলতে পারতেন না।’ ডেইলি মেইলে নিজের কলামে লিখেছেন অ্যান্ডারসন। ‘কিন্তু আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে তাকে অতিরিক্ত শ্রদ্ধায় নিমজ্জিত রাখা চলবে না।’
টেন্ডুলকারের সঙ্গে ১৯ টেস্ট ইনিংসে মুখোমুখি হয়েছেন অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে ২০৭ রানে সাতবার শচীনের উইকেট নিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার।
নিজের কলামে শচীনকে বল করা নিয়ে বোলারদের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন,‘শচীনকে বল করা সম্পর্কে সম্প্রতি ফ্লিনটফের কাছ থেকে একটি মজার গল্প শুনেছি। তিনি বলেছিলেন,‘আমি নিশ্চিত ভাবেই তাকে আউট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একই সঙ্গে তার (শচীনের) সমীহও আদায় করতে চেয়েছি। আমি তাকে ইমপ্রেস করতে চেয়েছিলাম।’ অ্যান্ডারসন লিখেছেন, তার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছিলো ফ্রেডি (ফ্লিনটফ) টেন্ডুলকারের স্বীকৃতির জন্য তাকিয়ে ছিলেন।
শচীনের বিপক্ষে বল করতে গিয়ে নিজের কখনো এরকম অনুভূতি হয়নি বলেন জানান অ্যান্ডারসন। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে যে ফ্লিনটফের মতো অনুভূতি হয়না সেটি উড়িয়ে দেননি তিনি,‘আমি জানি অনেকেই বলে থাকেন তারা টেন্ডুলকারকে ব্যাটিং করতে দেখতে ভালবাসেন। কিন্তু এই ধরনের অতিরিক্ত প্রশংসা সম্ভবত আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্পৃহাকে কমিয়ে দিতে পারে।’
‘আমি সচেতনভাবে কখনো সেরকম ভাবিনি। কিন্তু অবচেতনভাবে ওই ভাবনা কাজ করে থাকতে পারে। কারণ খেলায় তিনি যে অর্জন করেছেন তার প্রতি আপনা আপনিই একধরনের শ্রদ্ধা কাজ করে। শতকের শতক হাঁকানো অবশ্যই একটি অর্জন। এছড়া তিনি যে ধরনের ব্যবহার করে থাকেন, বিনিময়ে আপনি অবশ্যই তাকে শ্রদ্ধা দেখাতে চাইবেন।’
‘শচীন ফ্যাক্টরটি অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়। আমি এখানে (ভারতে) অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি এবং আমার মনে হয়েছে তাদের দল কি করছে সেটার চেয়ে দর্শকরা শচীনের ব্যাটিং নিয়েই বেশি উৎসাহী। যখন শচীন আউট হয় তখনই গ্যালারী ফাঁকা হয়ে যায়।’
অ্যান্ডারসন বেশি বেশি ওই রকম পরিস্থিতি তৈরি করতে চান। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেও বল করতে কোনো মাথা ব্যথা নেই এই পেসারের। তিনি লিখেছেন,‘আসন্ন সপ্তাহগুলোতে স্থানীয় দর্শকদের কাছে নিজেকে বেশি করে অজনপ্রিয় করতে চাই।’ যে কোনো উইকেট পেতেই পছন্দ করবেন বলে জানিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন,‘ শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরাও আমাদের কাছে সমান গুরুত্ব পাবেন। ব্যাটসম্যান যেই হন, তিনি একটি টেস্ট খেলেছেন বা শত টেস্ট খেলেছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাদেরও সমীহ আদায়ের চেষ্টা থাকবে।’